এবিএনএ : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত এক রিটের নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। এর ফলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সরকারের আর কোনো বাধা রইল না। আদালত রায়ে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বেশ কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাজ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে আদালত মোবাইল অপারেটরগুলোকে বিটিআরসি সিম নিবন্ধনে যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালনের https://abnanews.com/wp-admin/post-new.phpকথা বলেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ব্যবহৃত আঙুলের ছাপের (ফিঙ্গার প্রিন্ট) সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রয়োজনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কথা বলেছেন আদালত। এর আগে গত রোববার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কার্যক্রম নিয়ে করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করেন হাইকোর্ট। এই রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অনিক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। মোবাইল অপারেটর রবির পক্ষে ছিলেন ফাতেমা আনোয়ার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সুলতানা। এর আগে গত ১৪ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি), মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোসহ ১৩ জনকে জবাব দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী, গত ৩ ও ৬ এপ্রিল শুনানি হয়। এর আগে গত ৯ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এস এম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করে সরকার। এরপর থেকে আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সংযোগ কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ ছাড়া আঙুলের ছাপ নিয়ে জনমনে নানা শংকার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল সিম নিবন্ধনের জন্য সংগৃহীত আঙুলের ছাপের অপব্যবহার করলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।